পেকুয়ায় সব স’মিল থেকে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে চাঁদা আদায়ের মহোৎসব। পেকুয়া থানার সেই বিতর্কিত কনষ্টেবল শফিকুর রহমান পুলিশের কথা বলে এসব স’মিল থেকে নিরবে হাতিয়ে নেন হাজার হাজার টাকা। পেকুয়ায় অধিকাংশ স’মিলের বৈধ কাগজপত্র নেই। এরপরেও স’মিলগুলোতে চিরাই হচ্ছে গাছ। পেকুয়ার বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ত্রিশটিরও বেশি স’মিল রয়েছে। এরমধ্যে দু’টি স’মিলে লাইসেন্স আছে। অবশিষ্ট স’মিলগুলো প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর থানা পুলিশ ও বনবিভাগকে ম্যানেজ করে গাছ চিরাই অব্যহত রাখছেন। মাসওয়ারি টাকা দিয়ে এসব স’মিলে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট গাছ কর্তন চলছে। জানাগেছে কনষ্টেবল শফিক থানার ক্যাশিয়ার পরিচয় দিয়ে খোদ পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে স’মিলগুলোর মালিকের কাছ থেকে টাকা আদায় করে থাকে। কক্সবাজার জেলার অধিকাংশ স’মিলে গাছ চিরাই বন্ধ হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলায় বন সম্পদ রক্ষার জন্য এসব স’মিলের অপতৎপরতা রোধ করতে মাহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। হাইকোর্ট বিভাগ পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে বন সম্পদ রক্ষার জন্য অবৈধ সব স’মিল বন্ধ রাখতে সরকার ও বনবিভাগকে নির্দেশ দেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর হাইকোর্টের আদেশের কপি সংরক্ষন করা হয়েছে। জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, চকরিয়াসহ অন্যান্য উপজেলায় অবৈধ গাছ চিরাই রোধ করা হয়েছে। কিন্তু পেকুয়ায় এখনো থেমে যায়নি অবৈধ স’মিলগুলোর আগ্রাসন। এরমধ্যে টইটং ও বারবাকিয়ায় সংরক্ষিত বনভুমির নিকট একাধিক স’মিল আছে। সেগুলোতে হরদম ভাবে চিরাই হচ্ছে কাঠ। পেকুয়া থানার কনষ্টেবল শফিক সব স’মিল থেকে প্রতিমাসে টাকা নিয়ে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কনষ্টেবল শফিক থানার মেচ চালানোর কথা বলে প্রত্যেক স’মিল থেকে প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে আদায় করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার কনষ্টেবল শফিকুর রহমান জানান মেচ চালানোর সব চাপ আমার উপর। আমার পর্বে যারা ছিল এরা যেভাবে মেচ চালাচ্ছে আমিও সেভাবে চালাচ্ছি। এখানে নতুন করে কিছু হচ্ছেনা। টাকা না নিলে মেচ কিভাবে চালাবো।
#####################
পেকুয়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
পেকুয়া প্রতিনিধি ::::
পেকুয়ায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল গফুর প্রকাশ বাদশাহ (২৫)। তিনি উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের পুর্ব নুরীরপাড়া এলাকার মৃত. লেদুমিয়ার ছেলে। গত বুধবার গভীর রাতে পেকুয়া থানার এএসআই নাজির হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে নুরীরপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এএসআই নাজির হোসেন জানিয়েছেন আব্দুল গফুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় সাড়ে তিন বছর সাজা রয়েছে। গতকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: